মোঃ শোয়াইব,হাটহাজারী প্রতিনিধি:
হাটহাজারীর চাঞ্চল্যকর ইকবাল (২০) হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মানিক বড়ুয়া (২১) কে গ্রেপ্তার করেছেন মডেল থানা পুলিশ।বুধবার(১৭আগষ্ট)দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অভিনব কৌশলে পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন)মোঃআমিনুল ইসলাম হত্যাকান্ডে জড়িত মানিক বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘদিন সে পলাতক ছিল পুলিশের নজরের বাহিরে । গ্রেপ্তারকৃত মানিক বড়ুয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব চন্দ্রপুর, বড়ুয়া পাড়া এলাকার বাবুল বড়ুয়ার পুত্র। সে পেশায় একজন শ্রমিক। ইকবাল হত্যার সাথে জড়িত বলে বিজ্ঞ আদালতে মানিক বড়ুয়া জবাবন্দি দেয় বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
থানা সুত্রে জানা যায়,গত ৫ জুন রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষে সন্ধ্যার সময় পৌরসভার মাটিয়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকার জীপ স্টেশনে নিহত ইকবাল(২০) তার বন্ধু মানিক বড়ুয়া,শাকিল প্রকাশ রুবেল(১৯) একসাথে আড্ডা দিচ্ছিল। গল্পের একপর্যায়ে মানিক বড়ুয়ার সাথে ইকবারের ঝগড়া সৃষ্টি হয়। দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হওয়ার মধ্যে অপর বন্ধু শাকিল দুজনের মাঝে দাড়িয়ে দুজনকে নিয়ে যায় দুইদিকে।কিন্তু মানিক বড়ুয়া সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফের মাটিয়া মসজিদ এলাকার জনৈক আরিফ মিয়ার খোলা জমিনে প্রকাশ্যে বন্ধু ইকবালকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত-বিক্ষত করে। দ্রুত অপর বন্ধুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইকবালকে মৃত ঘোষণা করে। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে মুল হোতা মানিক বড়ুয়া পালিয়ে যায়। পরে ইকবালের মামা আলমগীর বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করে মডেল থানায়। নিহত ইকবাল পৌরসভার পূর্ব আলমপুর মাওলানা আঃ রশিদের বাড়ীর নুর মোহাম্মদের পুত্র।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃরুহুল আমিন সবুজ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইকবাল হত্যার মুল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছি।ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল,পুলিশের বিশেষ কৌশলে মুল অপরাধীকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করি।সে নিজ ইচ্ছায় আদালতে হত্যাকান্ডে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
Leave a Reply